"হ্যালো হ্যালো .. আরে শোন, কাটিসনা ফোন টা.."
না রাখবে না, ভীতুর ডিম, আজ অব্দি কিছু clear করে বলতে পারলোনা বাড়িতে, যত জোর খাটানো শুধু ওর বেলায়.. কুট করে লাইন টা কেটে দেয় তিয়াশা। আবার ফোন করেছে ও। যত খুশি করুক ফোন, আজ কিছুতেই রবেনা সে।
"ট্যাক্সি, ট্যাক্সি.. চলুন দাদা, নন্দন।" কিচ্ছু না ভেবেই উঠে পড়ে তিয়াশা। কবে থেকে বলে আসছে সাগ্নিক কে, একটা ফোন কিনে দিতে, তা না। তার বেলায় বাবুর পয়সা নেই। আর এদিকে অফিসে যখন ওর কলিগ রা বলে কিছু, তখন সব ঠিক ই থাকে। জানালায় চোখ ফেরায় সে।
নন্দনে নেমে একটু এদিক ওদিক পায়চারি করছে তিয়াসা। এমন একা একা যে সে শেষ কবে এসেছে মনে পড়ছে না। ধুর, এই সাগ্নিক টা তার অভ্যেস এর বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। ও কাছে না থাকলে সব কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। এর মধ্যেই বারো তেরো টা মিসড কল, একটাও ধরেনি সে। আর ধরবেও না। ও কি ফেলনা নাকি?
আজ ফ্ল্যাটে তিয়াশা একা। ওর যে রুমমেট সে আজ কি জরুরী দরকারে বাড়ি গেছে। রাত এখন প্রায় সাড়ে নটা বাজে। এমন সময় কলিং বেল বাজলো। উঠে দেখতে গেলো সে।
সাগ্নিক। হাতে এত্ত বড়ো একটা পিজার বাক্স, আর কোল্ড ড্রিংকস।
"ফোন তো আর ধরলি না, তাই অগত্যা" বললো সাগ্নিক।
"অগত্যা? মানে টা কি? আমি কি বলেছি তোকে আমার রাগ ভাঙাতে? যা না যা, তুই তোর কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাক। আমার কথা ভাবতে হবে না তোকে..." বলে তিয়াশা।
বলতে বলতেই মুখ ঘুরিয়ে নিল সে। চোখদুটো তার হলে কি হবে, বড়ো বিশ্বাসঘাতক, থেকে থেকেই ঠিক অসময়ে জল চলে আসে। ভাগ্যিস সাগ্নিক দেখেনি।
"হুম্, বুঝেছি। ভালই রাগ হয়েছে তাহলে ম্যাডামের। কই দেখি চোখদুটো।" সাগ্নিক এগিয়ে যায়।
মুখোমুখি বসে আছে ওরা দুজন, খোলা বারান্দায়। আকাশ তখন পরিষ্কার। মেঘ সরে গেছে। একটা একটা করে তারা ফুটছে রাতের আকাশে।
সমাপ্ত
© FB.com/swagata.ghosh3